You are currently viewing বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের পূর্ণ সংখ্যা
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে - featured image

বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের পূর্ণ সংখ্যা

✨ Free Captions Generator

আপনি যে বিষয়ে ক্যাপশন চাচ্ছেন, সেটা নিচের বক্সে লিখুন, লেখার পরে Style, Platform সিলেক্ট করে Generate বাটন এ ক্লিক করুন





বাঙালি বর্ণমালা আমাদের ভাষার মূ্ল ভিত্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে, যা বাংলা ভাষাকে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। এ বর্ণমালায় মোট ১১টি পূর্ণমাত্রা বর্ণ, ৫টি অর্ধমাত্রা বর্ণ এবং ৩টি মাত্রাহীন বর্ণ রয়েছে। পূর্ণমাত্রা বর্ণগুলিতে সম্পূর্ণ স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সংমিশ্রণ থাকে, যেমন ‘কা’, ‘খি’ ইত্যাদি। অপরপক্ষে, অর্ধমাত্রা বর্ণগুলি মূলত ব্যঞ্জনবর্ণের আধা অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণত বাক্যের সংযোগ স্থানে ব্যবহৃত হয়, যেমন ‘্’ (হাসন্ত)। মাত্রাহীন বর্ণগুলি হল সেই ব্যঞ্জনবর্ণগুলো যা কোনো স্বরবর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে নিজে থেকে ব্যবহৃত হয়, যেমন ‘ং’, ‘ঃ’ এবং ‘ঁ’। এই শ্রেণীবিন্যাস বাংলা ভাষার উচ্চারণ ও শব্দ গঠনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, যা ভাষাকে আরও মসৃণ ও অর্থবহ করে তোলে।

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন বাংলা বর্ণমালায় এই ধরনের বিভাজন প্রয়োজন হয়েছে? এই নিবন্ধে আমরা আরও গভীরে প্রবেশ করবো এবং বিশদভাবে আলোচনা করবো পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের গুরুত্ব ও ব্যবহার সম্পর্কে। আপনি জানবেন কিভাবে এই বর্ণগুলো একত্রে বাংলা ভাষাকে অসাধারণভাবে সমৃদ্ধ করেছে এবং কিভাবে সঠিক ব্যবহার বাংলা ভাবনা ও প্রকাশে সহায়ক। আসুন, আমাদের সাথে যোগ দিয়ে আবিষ্কার করুন বাংলা বর্ণমালার এই সমৃদ্ধ জগতের আরও রঙিন দিকগুলো।

অর্ধমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি

বাংলা ভাষায় অর্ধমাত্রা ব্যঞ্জনবর্ণ মোট ২৫টি রয়েছে। এরা হল:

♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡

এই ব্যঞ্জনবর্ণগুলোকে অর্ধমাত্রা বলে কাকোন, কারণ এইগুলো মূলত ছন্দবদ্ধ শব্দ গঠনে ব্যবহার হয় এবং তাদের সাথে স্বর মিলাতে হলে (হালন্ত) ব্যবহার করা হয়।

পূর্ণমাত্রার বর্ণ কয়টি ও কি কি

বাংলা ভাষায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ মোট ১১টি রয়েছে। এই বর্ণগুলো হল:

♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡

মাত্রা যুক্ত বর্ণ কয়টি ও কি কি

বাংলা ভাষায় মাত্রা যুক্ত বর্ণগুলি সাধারণত ব্যঞ্জনবর্ণ ও স্বরবর্ণের সমন্বয়ে গঠিত। মোটামুটি ৩৮টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে, এবং প্রতিটি ব্যঞ্জনে বিভিন্ন স্বরবর্ণের মাত্রা যুক্ত হয়ে পৃথক বর্ণ তৈরি করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যুক্ত বর্ণ নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো:

♡ ♡ ♡
কা, কি, কী, কে, কো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
খা, খি, খী, খে, খো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
গা, গি, গী, গে, গো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
চা, চি, চী, চে, চো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ছা, ছি, ছী, ছে, ছো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
জা, জি, জী, জে, জো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
টা, টি, টী, সে, টো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ঠা,াঠি,ঠী,ঠে,ঠো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ডা, ডি, ডী, ডে, ডো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ঢা,ঢি,ঢী,ঢে,ঢো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ণা, ণি, ণী, ণে, ণো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
তাঁ, তিঁ, তী, তে, তো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
থা, থি, থী, থে, থো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
দা, দি,দী, দে, দো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ধা, ধৰ, ধী, ধে, ধো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
না, নি,নী,নে,নো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
পা, পি,পী,পে,পো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ফা,ফি,ফী,ফে,ফো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
বা,বি,বী,বে,বো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ভা,ভি,ভী,ভে,ভো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
মা,মি,মী,মে,মো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
যা,যি,যী,যে,যো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
রা,রি,রী,রে,রো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
লা,লি,লী,লে,লো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
শা,শি,শী,শে,শো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ষা,ষি,ষী,ষে,ষো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
সা,সি,সী,সে,সো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
হা,হি,হী,হে,হো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ড়া,ড়ি,ড়ী,ড়ে,ড়ো
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
ঢ়া,ঢ়ি,ঢ়ী,ঢ়ে,ঢ়ো
♡ ♡ ♡

মিস করবেন নাঃ ট্রয় নগরী কোথায় অবস্থিত: ঐতিহাসিক স্থান ও মানচিত্র বিশ্লেষণ

মোটামুটি প্রতিটি ব্যঞ্জনে দেয়া স্বরবর্ণের পরিমাণ অনুসারে এই মাত্রা যুক্ত বর্ণসমূহ গঠন করা হয়। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং শব্দের উচ্চারণ সহজ হয়।

মাত্রাহীন বর্ণ কাকে বলে

মাত্রাহীন বর্ণ হলো সেই বর্ণগুলো যেগুলোতে কোনো স্বরচিহ্ন বা মাত্রা যুক্ত থাকে না। বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের অধিকাংশই মাত্রাহীন বর্ণ হিসেবে পরিচিত। এই বর্ণগুলির নিজস্ব একটি স্বর থাকে, যা সাধারণত স্বর। বাক্যে ব্যবহারের সময় এগুলিতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন স্বর যোগ করা হয়। মাত্রাহীন বর্ণের বৈশিষ্ট্যাবলী নিম্নরূপ:

♡ ♡ ♡
এগুলোতে কোন স্বরচিহ্ন সংযুক্ত থাকে না
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
প্রতিটি মাত্রাহীন বর্ণের একটি স্বর গুণ থাকে
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
বাক্যে এগুলোকে বিভিন্ন স্বর দিয়ে পরিবর্তন করা যায়
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
শব্দ গঠনে এগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
♡ ♡ ♡
♡ ♡ ♡
সঠিক উচ্চারণ নির্ভর করে বর্ণগুলির মাত্রার উপর
♡ ♡ ♡

উদাহরণস্বরূপ: বর্ণবিন্যাসে ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ ইত্যাদি বর্ণগুলো মাত্রাহীন বর্ণের অন্তর্ভুক্ত। এগুলির সাথে স্বর যোগ করে বিভিন্ন শব্দ তৈরি করা হয়, যেমন-ক + আসে = কা, খ + ই = খি ইত্যাদি।

বাংলা বর্ণমালা হলো আমাদের ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ভাষার মৌলিক গঠনে সাহায্য করে। বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা, এবং মাত্রাহীন বর্ণ এই তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে।

পূর্ণমাত্রা বা স্বতন্ত্র স্বরবর্ণের সংখ্যা মোট ১১টি। এই স্বরবর্ণগুলো হল: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ওঁ। প্রতিটি পূর্ণমাত্রার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বাংলা ভাষার শব্দ গঠনে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

অর্ধমাত্রা হলো স্বরবর্ণের মাত্রাগুলি, যা ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন স্বর তৈরি করে। বাংলা বর্ণমালায় মোট ১০টি অর্ধমাত্রা রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে আমরা সহজেই বিভিন্ন শব্দ এবং উচ্চারণ তৈরি করতে পারি, যা ভাষার সৌন্দর্য বাড়ায়।

মাত্রাহীন বর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯টি। এই ব্যঞ্জনবর্ণগুলো বাংলা শব্দের গঠন এবং উচ্চারণে অপরিহার্য। প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণে শুধু মাত্রা না থাকায় সেগুলোকে মাত্রাহীন বলা হয়, যা শব্দের অর্থ এবং উচ্চারণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Conclusion

ধন্যবাদ পড়ার জন্য! আপনি এখন এই নিবন্ধের শেষভাগে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের আর্টিকেল কেমন লাগলো? যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তবে দয়া করে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এছাড়াও, যদি আপনার কাছে কোনো ক্যাপশন সম্পর্কিত অনুরোধ বা মন্তব্য থাকে, তবে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনার মতামত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ!

Leave a Reply