You are currently viewing ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা? সম্পূর্ণ গাইড ও তথ্য
ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা - featured image

ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা? সম্পূর্ণ গাইড ও তথ্য

✨ Free Captions Generator

আপনি যে বিষয়ে ক্যাপশন চাচ্ছেন, সেটা নিচের বক্সে লিখুন, লেখার পরে Style, Platform সিলেক্ট করে Generate বাটন এ ক্লিক করুন





ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, ব্যাডমিন্টনকে অনেক দেশই অত্যন্ত প্রিয় এবং জনপ্রিয় খেলা হিসেবে গ্রহণ করে। বিশেষ করে এশিয়ার কিছু দেশ, যেমন চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ব্যাডমিন্টনে বিশ্বমানের প্রতিভা এবং সাফল্যের জন্য পরিচিত। এই দেশগুলিতে ব্যাডমিন্টন শুধু একটি খেলা নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। যদিও এই দেশগুলিতে ব্যাডমিন্টনকে অফিসিয়ালি জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি, তা সত্ত্বেও এর প্রতি তাদের গভীর আবেগ এবং সমর্থন স্পষ্ট থাকায় এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে।

আপনি যদি ব্যাডমিন্টনের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন দেশে এর গুরুত্ব সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী হন, তবে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এখানে আমরা আলোচনা করবো ব্যাডমিন্টনের ইতিহাস, বিভিন্ন দেশের এই খেলার প্রতি নিষ্ঠা, এবং কীভাবে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলার একটি অগ্রণী স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও, আপনি জানতে পারবেন কীভাবে ব্যাডমিন্টন বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি এবং সামাজিক জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। তাহলে চলুন, এই রোমাঞ্চকর যাত্রায় আপনার সাথে আমরা এগিয়ে চলি এবং ব্যাডমিন্টনের মজার ও তথ্যবহুল দিকগুলি আবিষ্কার করি।

ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাডমিন্টন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় খেলাধুলা হিসেবে বিবেচিত হলেও, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে নিম্নলিখিত দেশগুলোতে ব্যাডমিন্টনের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে:

✾ ✾ ✾
মালয়েশিয়া – ব্যাডমিন্টন দেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা এবং অনেক সাফল্য অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
ইন্দোনেশিয়া – এখানে ব্যাডমিন্টন অনেক জনপ্রিয় এবং দেশীয় খেলোয়াড়রা বিশ্বমানের সাফল্য লাভ করে থাকে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
চীন – চীনা ব্যাডমিন্টন বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
দক্ষিণ কোরিয়া – ব্যাডমিন্টন দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম প্রধান খেলাধুলার মধ্যে একটি।
✾ ✾ ✾

এই দেশগুলিতে ব্যাডমিন্টনকে বিশেষ গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা দেওয়া হয়, যা খেলার উন্নতি এবং প্রতিযোগিতার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস

মিস করবেন নাঃ সমিচিনের সঠিক শুদ্ধ বানান ও বাংলা বানানের গাইড

ব্যাডমিন্টনের উৎপত্তি প্রাচীন ভারত ও চীন এর শুটলককের খেলা থেকে শুরু হয়। পরে ব্রিটিশ অধীনাধীন ভারতে এই খেলা বিকশিত হয় এবং ইংল্যান্ডে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯২ সালে ব্যাডমিন্টন খেলা শীর্ষস্থানীয় অলিম্পিক খেলা হিসেবে যুক্ত হয়। এর ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ:

✾ ✾ ✾
প্রাচীন শুটলকক খেলা: প্রাচীন কালে ভারত ও চীনে শুটলককের খেলা প্রচলিত ছিল যা ব্যাডমিন্টনের পূর্বসূরি হিসাবেও বিবেচিত হয়।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
ব্রিটিশ ভারতে বিকাশ: ১৮৫০ সালের দিকে ব্রিটিশরা ভারতে খেলাটি আরও পরিপক্ক করে এবং ব্রিটিশ উচ্চবিত্তদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
ইংল্যান্ডে পরিচিতি: ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম ব্যাডমিন্টন ক্লাব গঠন হয় এবং ১৯০০ সালে প্রথম অলিম্পিক ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচেষ্টা হয় যদিও তা সফল না হয়।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা: ১৯১০ সালে লন্ডনে প্রথম অল ইংলিশ ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন্সশিপ অনুষ্ঠিত হয় যা আজও একটি prestious ইভেন্ট।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তি: ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকে ব্যাডমিন্টন খেলা সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়, যা খেলার বৈশ্বিক জনপ্রিয়তাকে বৃদ্ধি করে।
✾ ✾ ✾

ব্যাডমিন্টনের এই সমৃদ্ধ ইতিহাস খেলার প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্যাডমিন্টন খেলার জনক কে

ব্যাডমিন্টনের জনক হিসেবে স্বীকৃতি স্যার জর্জ থমাসকে দেওয়া হয়। তিনি ব্যাডমিন্টন খেলার উন্নয়নে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন:

✾ ✾ ✾
প্রথম এ্যাল অফিসিয়াল চ্যাম্পিয়নশিপ ১৮৯৯ সালে আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
খেলার নিয়মাবলী নির্ধারণ এবং মান্য করা
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
ইংল্যান্ডে ব্যাডমিন্টনের জনসাধারণে পরিচিতি করা
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ভিত্তি স্থাপন
✾ ✾ ✾

স্যার থমাসের নেতৃত্বে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক খেলা হিসেবে গড়ে ওঠে এবং আজও তাঁর অবদান স্মরণীয়।

ব্যাডমিন্টন খেলার জন্ম কত সালে

ব্যাডমিন্টনের উৎপত্তি ১৯শ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভারতে, বিশেষ করে পওনা অঞ্চলে শুরু হয়। তবে খেলার আধুনিক রূপ ১৮৭৩ সালে ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অব ইংল্যান্ড গঠন করে এবং খেলার নিয়মাবলী নির্ধারণ করে। এই প্রতিষ্ঠান opgericht করার মাধ্যমে ব্যাডমিন্টনকে একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া শুরু করে।

ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম

ব্যাডমিন্টন খেলার সময় খেলোয়াড়দের কিছু মূল নিয়ম মেনে চলতে হয়। খেলা দুই ধরনের হতে পারে: সিঙ্গেলস যেখানে প্রতিটি পক্ষ একটি খেলোয়াড় নিয়ে খেলে এবং ডাবলস যেখানে প্রতিটি পক্ষ দুইটি খেলোয়াড় নিয়ে খেলে।

✾ ✾ ✾
সার্ভিং: সার্ভারকে সাইডের নিচ থেকে শাটলকক সার্ভ করতে হবে এবং শুট প্রতিপক্ষের ডায়াগোনাল জোনে যেতে হবে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
পয়েন্টস: একটি রাউন্ড সাধারণত ২১ পয়েন্ট পর্যন্ত খেলা হয়, যেখানে সর্বনিম্ন দুই পয়েন্টের ব্যবধান প্রয়োজন।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
শুটের আইন: শুট নেটের উপর দিয়ে গেলে তা মিস করতে হয় এবং শুট ফ্লাইটের নিচ থেকে হওয়া আবশ্যক।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
সীমানা: ডাবলসের খেলার ক্ষেত্রে সীমানা সিঙ্গেলসের চেয়ে বিস্তৃত। শ্যাটলকক সীমানা ছাড়িয়ে গেলে পয়েন্ট হারানো হয়।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
রাউন্ড এবং সেট: প্রতিযোগিতামূলক খেলা সাধারণত তিনটি সেটের মধ্যে খেলা হয়, যেখানে প্রথম দুটি সেট ২১ পয়েন্টের এবং তৃতীয় সেট ১৫ পয়েন্টের হতে পারে।
✾ ✾ ✾

এই নিয়মগুলি মেনে চললে খেলা আরও সুষ্ঠু এবং উপভোগ্য হয়ে ওঠে। খেলোয়াড়দের উচিত খেলার পূর্বে সব নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা।

ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট হিসাব

ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট হিসাব র‍্যালি পয়েন্ট সিস্টেম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। একটি ম্যাচ সাধারণত সেরা তিনটি গেমের ভিত্তিতে খেলা হয়। প্রতিটি গেমে প্রথম ২১ পয়েন্ট অর্জনকারী দল বা খেলোয়াড় বিজয়ী হয়, তবে ২ পয়েন্টের পার্থক্য থাকলে গেম শেষ হয়। নীচে পয়েন্ট হিসাবের মূল নিয়মসমূহ তুলে ধরা হলো:

✾ ✾ ✾
প্রতিটি র‍্যালিতে একটি পয়েন্ট অর্জিত হয়, সার্ভার হোক বা রিসিভার।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
গেমে প্রথম ২১ পয়েন্ট অর্জনকারী দল বা খেলোয়াড় গেম জিতে নেয়, যদি তাদের স্কোর দুজনের মধ্যে দুই পয়েন্টের পার্থক্য থাকে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
যদি স্কোর ২০-২০ হয়, তাহলে গেম চলতে থাকে যতক্ষণ না একজন দুই পয়েন্টের পার্থক্য নিয়ে জয়ী হয়, সর্বাধিক ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
বিজয়ী গেমের পরপরই পরবর্তী গেমে সার্ভার বদলানো হয়, এবং বিজয়ী দলের বা খেলোয়াড়ের দলে সার্ভার থাকে।
✾ ✾ ✾
✾ ✾ ✾
ম্যাচ জিতে নেওয়ার জন্য সর্বাধিক তিনটি গেম অপরিহার্য, অর্থাৎ দুইটি গেম জিতলেই ম্যাচ শেষ।
✾ ✾ ✾

Conclusion

আপনি এখন এই প্রবন্ধের শেষে পৌঁছেছেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ! আমাদের নিবন্ধ কেমন লাগলো? যদি এটি আপনার পছন্দ হয়েছে, অনুগ্রহ করে এটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আপনার মতামত বা ক্যাপশন সংক্রান্ত কোন অনুরোধ থাকলে নিচে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। সবটা পড়েছেন?

Leave a Reply